ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:০৩:৪৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

দুই বাংলাদেশিকে ‘অবৈধ’ সহায়তা করায় সৌদি নারীর শাস্তি 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৮ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দুই বাংলাদেশিকে ‘অবৈধ’ সহায়তা করায় সৌদির এক নারীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সৌদির সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট।

একইসঙ্গে ওই দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। তারা কখনো আর সৌদিতে কাজের জন্য প্রবেশ করতে পারবেন না। 

বুধবার (৭ মে) সৌদি গ্যাজেট জানিয়েছে, সৌদি ওই নারী ও বাংলাদেশিদের ১ লাখ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। তাদের নাম ও ছবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। মক্কার ফৌজদারি আদালত এ শাস্তি প্রদান করেছে। যা প্রকাশ করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আদালত তাদের ১ লাখ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করার পাশাপাশি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল, লাইসেন্স স্থগিত, কোম্পানির সব কার্যক্রম এবং জাকাত, ফি ও ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করেছে। এ ছাড়া, আদালত দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো এবং সৌদিতে কাজের জন্য প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

সৌদি গ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ‘তাস্তুরি’ করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সৌদিতে যদি কোনো বিদেশি লাইসেন্সসহ ব্যবসা করতে চায় তাহলে তার কাছে কমপক্ষে ১০ লাখ রিয়াল থাকতে হবে। যদি কারও এ অর্থ দেওয়ার সামর্থ না থাকে তখন সৌদির কোনো নাগরিকের মাধ্যমে কোম্পানি খুলে বিদেশিরা ব্যবসা করেন। যা তাস্তুরি নামে পরিচিত। এ ধরনের সহায়তা সম্পূর্ণ বেআইনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মূলত সৌদি নারী নিজের নামে কোম্পানি খুলে বাংলাদেশিদের ব্যবসা করতে দিচ্ছিলেন। তারা মক্কায় পরিবহণ খাতে ব্যবসা করত এবং দুই বাংলাদেশি এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থ সৌদির বাইরেও নিয়ে যাচ্ছিল।  


তদন্তে পাওয়া গেছে, সৌদির এ নারী বাংলাদেশিদের পরিবহণ খাতে ব্যবসা করতে সহায়তা করেছেন। যারা বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যয়নপত্র নেননি। তিনি এ দুই বাংলাদেশিকে নিজেদের মতো কাজ করতে, অর্থ আয় করতে সহায়তা করেছেন। যেগুলো তারা সৌদির বাইরে পাঠিয়েছেন।

তদন্তে আরও পাওয়া গেছে, সৌদির এ নারী নিজের নামে লোন নিয়ে ট্যাংকার কিনেছেন। কিন্তু বাংলাদেশিরা এটি ব্যবহার করত। নিজেদের মালিকানাধীন বলে পরিচয় দিত এবং ট্যাংকার নিয়ে বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে সবকিছু করত।